প্রাচীন রীতি মেনেই গ্ৰহণের আগেই করা হল সিঙ্গুরের ডাকাত কালীর পুজো , বন্ধ রইলো মন্দিরের দরজা গ্ৰহণকালে

21st June 2020 6:21 pm হুগলী
প্রাচীন রীতি মেনেই গ্ৰহণের আগেই করা হল সিঙ্গুরের ডাকাত কালীর পুজো , বন্ধ রইলো মন্দিরের দরজা গ্ৰহণকালে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : সূর্যগ্ৰহণের সময়কালে হয় না দেবীর আরাধনা । চিরাচরিত রীতি ও প্রথা মেনেই আজকেও সেই একই ধারায় পূজিত হলেন হুগলীর সিঙ্গুরের ডাকাতে কালী । পঞ্জিকা অনুসারে গ্ৰহণের সময় শুরু হওয়ার আগেই দেবীর পুুজো পর্ব শেষ করা হল । যতক্ষণ গ্ৰহণের সময় ততক্ষণ পর্যন্ত বন্ধ ই থাকলো মন্দিরের দরজা । চিরকাল এই প্রথাই চলে আসছে বলে জানিয়েছেন মন্দিরের পুরোহিত সুভাষচন্দ্র বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় । গ্ৰহণের সময় অতিক্রান্ত হবার পর দেবীর নিত‍্য ভোগের জন‍্য খিচুড়ি , পাঁচ প্রকারের ভাজা রান্না করে দেওয়া হয় । ডাকাত কালীর মন্দিরে প্রতিনিয়ত আসেন ভক্তরা । যদিও এখন নিয়ম অনেকটাই কড়াকড়ি করোনার জন‍্য বলছেন সেবাইত । প্রতিদিন দুপুর ১২ টায় দেবীর ভোগ হয় আজ ব‍্যতিক্রম । বেলা ২ টো ১৭ এর পর ভোগ রান্না করে তারপর দেওয়া হয় । এমনটাই জানিয়েছেন মন্দিরের পুরোহিত ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।